সিরাজগঞ্জে অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশের ক্ষতি, দেখার কেউ নেই - Pallibarta.com

মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

সিরাজগঞ্জে অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশের ক্ষতি, দেখার কেউ নেই

সিরাজগঞ্জে অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশের ক্ষতি, দেখার কেউ নেই

নাজমুল হাসান, সিরাজগঞ্জঃ
দিনের পর দিন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই দেশের বিভিন্ন জনসমাগম এলাকায় গড়ে উঠছে অবৈধ ইটভাটা। স্থানীয় প্রশাসনকে বুড়ি আঙুল দেখিয়ে ও পরিবেশের ভারসাম্য পুরোপুরি ক্ষতি করে রমরমা চলছে অবৈধ ইটভাটার জমজমাট ব্যবসা।

ঠিক এরকম রমরমা ব্যবসা জমে উঠেছে
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায়। অসংখ্য মানুষের ক্ষতি করে ও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে এই উপজেলাতে বৈধ অবৈধ মিলিয়ে গড়ে উঠেছে প্রায় ৬০টি ইটভাটা। যার বেশিরভাগই সরকারি নিয়ম মানছে না, আরামে অবৈধভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে।

ইটভাটাগুলোতে সরকারি নানা নিয়মের বেড়াজাল থাকলেও নিয়মের তোয়াক্কা না করে এসব ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বনজঙ্গল, অন্যদিকে ভাটার কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। গবে প্রশাসন দেখেও যেন দেখছেনা।

নিয়ম অনুসারে ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কয়লা পোড়ানোর কথা থাকলেও কয়লা সংকটের কারণেই জ্বালানি কাঠ পোড়াতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইটভাটা মালিক সমিতি বলছে। তবে উপজেলা প্রশাসন স্পষ্টত বলে দিয়েছে , কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা ইটভাটার জন্য নামকরা। ছোট এই উপজেলা ঘিরে গড়ে উঠেছে ৬১টি ইটভাটা। বছরের পর বছর ধরে চলছে নতুন ইটভাটা তৈরির হিড়িক। উপজেলার ৬১টি ইটভাটার ৩১টির নেই অনুমোদন।

পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের কর্যালয়ের তথ্য অনুসারে সিরাজগঞ্জে ৪৬টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে। বাকিগুলো চলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই।

উপজেলার ইটভাটায় একযোগে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ চলছে। একই সঙ্গে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে তৈরি হচ্ছে ইট। আর এতে জমির উর্বর শক্তি হারাচ্ছে। আর ইটভাটার নির্গত ধোঁয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুসহ সব বয়সি মানুষ। হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য।

ইটভাটার মালিক ফারুক হোসেন বলেন, সিজনে প্রায় ৮ লাখ ইট পোড়াতে প্রায় ১৩০ টন কয়লা লাগে। এক হাজার টন কয়লার দাম আগে ছিল ৯০ লাখ টাকা এখন কিনতে হচ্ছে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকায়। টাকা থাকলেও কয়লা পাওয়া যায় না।

রায়গঞ্জ উপজেলার ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ খান জানান, কয়লা সংকটের কারণে তারা জ্বালানি কাঠ দিয়েই ভাটা চালাচ্ছেন। তবে উপায় না থাকায় আমরা জ্বালানি কাঠ পোড়াতে বাধ্য হচ্ছি।

রায়গঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা দেওয়ান শহিদুজ্জামান বলেন, খুব শিগগিরই তারাও অভিযানে নামবেন। ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ পোড়ালেই জরিমানাসহ ইটভাটা বন্ধের সুপারিশ করা হবে।

রায়গঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি তানজিল পারভেজ জানান, ইতোমধ্যে তিনটি ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়েছে। ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ ব্যবহার রোধে মালিকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০