সাগরে গভীর নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে - Pallibarta.com

মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

সাগরে গভীর নিম্নচাপ, রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ইতিমধ্যেই গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে, যা পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিত পারে। এখন নিম্নচাপটি যে অবস্থানে, সেখান থেকে অবস্থান পরিবর্তন করে তা বাংলাদেশেও প্রবেশ করতে পারে।

আজ রোববার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘এরই মধ্যে নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের আকাশ মেঘলা রয়েছে। আগামীকাল সোমবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড় হলে তা মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।’ তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি বরিশাল-চট্টগ্রাম দিক দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটারের বেশি থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৫) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে নিম্নচাপটি অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ তৈরির পর তা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক বরাবর অগ্রসর হবে। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশের সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি।

এর প্রভাবে সোমবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলিসহ দক্ষিণ বঙ্গের বাকি জেলাগুলোতে।

মঙ্গলবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতাসংকেত দেওয়া হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

 

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১