বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
হুমায়ুন কবীর, রাজশাহীঃ
এলাকায় অসামাজিক কাজ করতে নিষেধ করায় সন্ত্রাসীদের মারধরে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি স্থানীয় সাংবাদিকদের ভাই।
রাজশাহী নগরীর চন্দ্রীমা থানার ভদ্রা জামালপুর ওলী বাবার মাজার এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও সাংবাদিক মতিউর রহমানের মেজো ভাই আতাউর রহমান কে অত্র এলাকার কিছু সন্ত্রাসী মাদকাসক্ত ও কথিত কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা গতকাল জুম্মার নামাজ আদায় করে বাসায় যাওয়ার সময় ১০-১২ জন সন্ত্রাসী পিছন থেকে অতর্কীত ভাবে হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে তারা আতাউর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্য এলোপাথাড়ি ভাবে মারতে থাকে।
এতে আতাউর রহমানের মাথা মারাত্মক ভাবে জখম হয়, এছাড়াও ডান হাতের একটি আঙুল ভেংগে যায় এবং সারা শরীরে জখম হয়। আতাউর রহমান কে স্থানীয় জনতা সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে যায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিউরো সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। আহত আতাউর রহমানের মাথায় ১৪ টি সেলাই দেওয়া হয় এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে দুইব্যাগ রক্ত দিতে হয়।
এ বিষয়ে গতকাল রাতে আলিম ওরফে জুগনি, শাকিল, আশিক, ছোটন, রঘুনাথ, স্বাধীন ও মামুনকে আসামী করে চন্দ্রীমা থানায় একটি অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে আহত আতাউর রহমানের ছোট ভাই সাংবাদিক মতিউর রহমান উল্লেখ করেন রঘুনাথের বাসায় উল্লেখীত সন্ত্রাসীরা রঘুনাথের দুই ছেলের সাথে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক সেবন করে থাকে এ বিষয়ে রঘুনাথকে এলাকার ভিতর এসব অসামাজিক কার্যকলাপ না করার জন্য বোঝানো হয়। তারই জের ধরে এই সন্ত্রসীরা আতাউর রহমানকে হত্যা করার উদ্দেশ্য আক্রমণ করে।
পুলিশ অভিযোগ আমলে নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে আসামীদের গ্রেফতার করার উদ্দেশ্যে এলাকায় এসে রঘুনাথ কে বাসায় পেয়েও গ্রেফতার করেনি। গ্রেফতার না করার বিষয়ে বাদী পুলিশের কাছে জানতে চাইলে বলে আগে মুল আসামীদের গ্রেফতার করে নিই তারপর রঘুনাথ কে গ্রেফতার করবো। পুলিশের এমন কাজে বাদী তার পরিবার নিয়ে আতংকিত হয়ে পরেন।