বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
গ্রিসের এথেন্সে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শিকার রুনা আক্তার নামের এক বাংলাদেশি নারীর মরদেহ প্রায় দেড়মাস পর দেশে যাচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ না করায় মর্গে পড়ে থাকা মরদেহটি দেশে পাঠানোর উদ্যোগও নিচ্ছিল না কেউ। অন্যদিকে হাসপাতালের মর্গের ফ্রিজের ভাড়াও বেড়েই চলছিল দিনদিন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনিক জটিলতা ও পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে মরদেহটি দেশে পাঠানোর কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসও। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে নজরে আসে নিহত রুনা আক্তারের পরিবারের।
গত ২৮ আগস্ট রাজধানী এথেন্সের কিপসেলির তেনেদু স্ট্রিটে রুনা আক্তার (৩৬) নামের এক বাংলাদেশি নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪০ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত রুনা বেগম নারায়নগঞ্জ জেলার জনৈক রিপন মিয়ার স্ত্রী। রুনা আক্তারের বাবার বাড়ি চাঁদপুর এলাকায়। তবে গ্রেফতার ব্যক্তির নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
এ নিয়ে গ্রিসের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। এতে বলা হয় কিপসেলির একটি রাস্তায় বাংলাদেশের একজন ৩৬ বছর বয়সী নারীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া গেলে সেখানেই কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়।
মরদেহটি গ্রিসে দাফন করতে হলেও হাসপাতালের ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। এরই মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ইউরো এসেছে ভাড়া। এ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিস। তবুও সন্ধান মেলেনি রুনা আক্তারের পরিবারের লোকজনের।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ জানান, ঘটনার দেড় মাস অতিবাহিত হলেও নিহতের পরিবারের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমরাও কাউকে পাইনি। এখন তারাও জেনেছে ঘটনা। আমাদের সাথেও যোগাযোগ করছে। কিন্তু বেশি দিন হওয়ায় অনেক টাকা লাগবে। তবুও যত টাকাই লাগে লাশ দেশে পাঠানো হবে। বাংলাদেশ কমিউনিটি মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লাশ দেশে পাঠানো হবে।