রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
হুমায়ুন কবীর রাজশাহীঃ
গত ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর পুঠিয়ায় দুই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কর্থিত হেলমেট বাহিনীর অগ্নিসংযোগ, ভোটদানে বাধা, হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ। এ মামলা গুলোতে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন উজ্জামানসহ যুবলীগের নেতাকর্মীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করলেও অভিযোগ উঠেছে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সখ্যতা রেখে পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন উজ্জামান আসামী হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরছে এই ক্ষমতাধর যুবলীগ নেতা সুমন।
থানার এক পুলিশ সদস্য বলেন, নির্বাচন ঘিরে যতগুলো অঘটন ঘটেছে তার মূল নায়ক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন উজ্জামান। তিনি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের জয় নিশ্চিত ও স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের কোণঠাসা করতে কর্থিত হেলমেট বাহিনী দিয়ে এ সব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এমনকি আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় থানার পুলিশ সদস্যদের তিনি কোন কিছু মনে করেন না। এমনকি বিভিন্ন সময় পুলিশ সদস্যদের হেনস্থাও করেন এই যুবলীগ নেতা সুমন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ ডিসেম্বর ভালুকগাছি ইউনিয়নে ভোট শুরুর পর থেকে পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন উজ্জামানসহ যুবলীগের নেতাকর্মীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি হেলমেট পরা অবস্থায় ধোকড়াকুল কেন্দ্রের বাইরে রাস্তা থেকে ভোটারদের ফিরিয়ে দেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় স্থানীয় চার ভোটারকে পিটিয়ে আহত করা হয়। হামলাকারীদের হাতে লাঠিসোঁটা ও রামদা ছিল। এ ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সংবাদকর্মীকেও আহত করা হয়। পরে স্থানীয় ভোটাররা আতঙ্কে ভোটকেন্দ্র থেকে চলে যান। এরপর বেলা ২টার দিকে নন্দনপুর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটান ও পরে বেলা সোয়া ৩টার দিকে ফুলবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে তিন-চারটি ককলেট বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটান যুবলীগ নেতা সুমন বাহিনী।
তারা বলেন, দুই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যুবলীগ নেতা সুমনের হেলমেট বাহিনীর অগ্নিসংযোগ, ভোটদানে বাধা, হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হলেও প্রকাশ্যে ঘুরছে যুবলীগ নেতা সুমন ও তার সহযোগীরা। যা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তারা দ্রুত পুঠিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন উজ্জামানসহ তার হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে মো. জিল্লুর রহমানকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি।
তবে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন উজ্জামান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি পক্ষ আমাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাচন ঘিরে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। মামলা হয়েছে আসামি গ্রেপ্তার হবে। প্রকাশ্যে ঘুরছে নাশকতা মামলার পলাতক আসামী যুবলীগ নেতা সুমন এমন ঘটনা সঠিক না। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।