সোমবার, ১৬ মে ২০২২
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড়। তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না চিড়িয়াখানা, ফ্যান্টাসি কিংডমসহ অন্যান্য ফিচার পার্কগুলোতে। শুধু শিশু-কিশোর নয়, বড়দের চোখেমুখেও স্বস্তির ঈদ উদ্যাপনের আনন্দ।
মহামারির দাপটে ঘরবন্দি মানুষ, টানা দুই বছর পর বিধি-নিষেধবিহীন ঈদ আনন্দে মেতেছেন। রাজধানী তো বটেই, আশপাশের থিমপার্কগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় যেন জানান দিচ্ছে খুশির ঈদে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।
ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন বুধবার (৪ মে) সকাল থেকেই সমাগম বাড়ে পার্কগুলোতে। বাহারি রাইডে সাজানো আয়োজনে মিলেছে সব বয়সীরা।
শিশু-কিশোররা বলছে, নতুন জামা পরে ঘুরতে এসেছি। বেড়াতে এসে খুব ভালো লাগছে।
ওয়াটার কিংডমে উৎসব মাতোয়ারাদের হইহুল্লোড়, আরও প্রাণবন্ত করতে পার্কগুলোও ঢেলে সাজানো কথা জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।
দর্শনার্থীরা বলছেন, শিশুদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। অনেক দিন ধরেই আসার ইচ্ছে। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য সুযোগ পাওয়া যায় না। ঈদে সুযোগ পাওয়া বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। নানা রকম পশু-পাখি দেখে তারা খুব খুশি। সব মিলিয়ে ভালো লাগছে।
এদিকে রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানায় তিলধারণের ঠাঁই ছিল না নগরবাসীর উপস্থিতিতে। সোনামণিদের হাত ধরে বাঘ-সিংহ-ভাল্লুক আর হরিণসহ না দেখা নানা জাতের প্রাণির সঙ্গেও সময় কাটিয়েছেন বিনোদনপ্রেমীরা।
তবে অতিরিক্ত মানুষের চাপে বেহাল ব্যবস্থাপনা আর প্রদর্শনীর জন্য অপ্রতুল প্রাণি থাকায় আক্ষেপও ছিল দর্শনার্থীদের কারো কারো।
এবারের ঈদে দীর্ঘ ছুটির রেশ কাটতে আগামী কয়েকদিন বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের চাপ বাড়বে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।