বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
ইউক্রেনে যুদ্ধের কৌশল পরিবর্তন করছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরই মধ্যে সেনাদের দিকনির্দেশনায় দেশটিতে নতুন কমান্ডার নিয়োগ দিয়েছে ক্রেমলিন। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের ধারণা, স্থল অভিযানের পরিবর্তনে ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায় মস্কো।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আকস্মিকভাবে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। গত কয়েক মাসের টানা অভিযানে লুহানৎস্ক ও দোনেৎস্কসহ চারটি অঞ্চল দখলে নেয় রুশ বাহিনী। সম্প্রতি গণভোটের মাধ্যমে ওই অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আরও পড়ুন: ক্রিমিয়ার সেই সেতুতে রাশিয়ার নিরাপত্তা জোরদার
তবে কয়েক দিন ধরে রাশিয়ার দখলে থাকা একের পর এক অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। এমনকি যেসব অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, সেই অঞ্চলও ধরে রাখতে পারছে না রুশ সেনাবাহিনী।
ইউক্রেনে কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পর এবার রুশ বাহিনীর নেতৃত্ব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এখন থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন বিমানবাহিনীর জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন। এক সপ্তাহের মধ্যে রুশ সেনাবাহিনীতে এটি তৃতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা নিয়োগ। ক্রিমিয়া সেতুতে বড় ধরনের বিস্ফোরণের মধ্যেই নতুন কমান্ডারের নিয়োগের ঘোষণা দেয় মস্কো।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, ২০১৭ সাল থেকে ৫৫ বছর বয়সী সুরোভিকিন রাশিয়ার বিমান ও মহাকাশ বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন। ২০০৪ সালে চেচনিয়ায় একটি গার্ড ডিভিশনের কমান্ডার হিসেবে কাজ করেছেন। ওই সময় ইসলামি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সেখানে যুদ্ধ করছিল রাশিয়া। ২০১৭ সালে সিরিয়ায় অবদানের জন্য তিনি একটি পদক পেয়েছিলেন। নব্বইয়ের দশকে তাজিকিস্তান ও চেচনিয়াসহ বেশ কয়েকটি বড় যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ২০১৫ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম মিত্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থনে সিরীয় ভূখণ্ডে নিযুক্ত ছিলেন তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেনে ধারাবাহিক বিপর্যয়ে বেশ চাপে পড়েছে রুশ সামরিক বাহিনী। তাই যুদ্ধের কৌশলেও পরিবর্তন আনছেন পুতিন। নতুন সেনা মোতায়েন কিংবা স্থল অভিযানের পরিবর্তে ইউক্রেনে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদার করতে পারে রাশিয়া। সেনাবাহিনীর প্রাণহানি কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।