শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
২৪শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি, বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোর স্টেডিয়ামের সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। সমাবেশস্থলে ইতোমধ্যে নৌকার আদলে সভামঞ্চ প্রস্তুত । সুপেয় পানি, মগ ও টয়লেট-বাথরুম স্থাপনের কাজও ইতিমধ্যে শেষ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে মঙ্গলবার মাঠে নামিয়েছে র্যাবের প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মঞ্চ সাজসজ্জা উপ-পর্ষদের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ জানান, সভামঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। নৌকার আদলে নির্মিত মঞ্চের দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ ৪০ ফুট। মূল মঞ্চ করা হয়েছে ৮০ ফুট বাই ৪০ ফুট। মঞ্চের পেছনে ৭৬ ফুট বাই ১০ ফুট ব্যানার টাঙানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশকে সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর করে তুলতে ৪শ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক কমিটি করা হয়েছে বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-পর্ষদের আহ্বায়ক সুখেন মজুমদার।
এ কমিটির সদস্যরা সমাবেশের প্রবেশমুখ, সমাবেশস্থল ও সমাবেশে আগতদের সহযোগিতা করবেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে যশোর সদর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগ তরুণলীগসহ সহযোগী সংগঠনের ৫ শতাধিক নেতাকর্মী শহরে মিছিল বের করেন। বকুলতলা বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল থেকে মিছিলটি বের হয়ে মনিহার চত্বর এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে দুপুর ১২টায় জেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক কাজী বর্ণ উত্তমের বাসভবন থেকে একটি সাইকেল র্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
মহাসমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, জাতির জনকের সুযোগ্য উত্তরসুরী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনতে মুখিয়ে আছেন যশোরসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। সভা-সমাবেশ ও প্রচার মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ উপলক্ষে গঠিত ৮ উপ-পর্ষদের নেতৃবৃন্দ।
যশোর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ পারভেজ জানান, প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ উপলক্ষে স্টেডিয়াম ও আব্দুর রাজ্জাক কলেজ মাঠে ৮০টি টয়লেট-বাথরুম স্থাপন করা হয়েছে। সুপেয় পানির জন্য বসানো হয়েছে ৪টি সাবমার্সিবল ও ৪টি টিউবওয়েল। ২০টি ট্যাংক থেকে পানি যাবে ২৬০টি ট্যাপকলে। পানি খেতে সরবরাহ করা হয়েছে ২৬০ পিস মগ (গ্লাস)।
গ্যালারির চারপাশে জনসচেতনামূলক লেখা সংবলিত ৮০টি প্যানা টানানো হয়েছে। এসব মাঠের সৌন্দর্য বর্ধনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, যশোর বিমানবন্দর থেকে শুরু করে স্টেডিয়াম পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের দেয়াল নানা রঙে রাঙানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের কাজ আগেই শেষ হয়েছে। বিভিন্ন দেয়ালে প্রধানমন্ত্রীর বাণী ও দলের বিভিন্ন স্লোগান লেখার কাজ করতে দেখা গেছে।
যশোর ট্রাফিক বিভাগ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গাড়ি পার্কিংয়ের নির্ধারিত স্থানগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। কোন স্পটে কোন ধরনের গাড়ি পার্কিং করা যাবে- তা জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার সেই মাঠে ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।