মেম্বার শাজাহানের নেতৃত্বে আস্ত কার্গো রাঘব বোয়ালের পেটে! - Pallibarta.com

শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩

মেম্বার শাজাহানের নেতৃত্বে আস্ত কার্গো রাঘব বোয়ালের পেটে!

মেম্বার শাজাহানের নেতৃত্বে আস্ত কার্গো রাঘব বোয়ালের পেটে!

মোস্তাফিজুর রহমান সুজনঃ

পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়নের এক জনপ্রতিনিধি ও এক চৌকিদারের কাছে জিম্মায় রাখা হয়েছিলো কার্গোটি নূন্যতম ৫ টন ওজনের ছিলো এটি জলযান কার্গোটিকে স্থানীয় রাঘব বোয়ালরা মেশিন দিয়ে কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে এলাকার নানা মহলে চলছে তুমুল হৈচৈ। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজের চেষ্টা করছে ওই রাঘব বোয়ালরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাউফল পৌরসভার জাহিদ নামের এক দোকানদার ৪ লাখ টাকায়, ৪৮ হাত দৈর্ঘ্য এবং ১২ হাত প্রস্থের একটি কার্গো ক্রয় করে বরিশালের লাহারহাট এলাকার জাফর নামের এক ব্যাক্তির কাছে মাসিক ২২ হাজার টাকায় ভাড়া দেন।

২০১৯ সালে তেঁতুলিয়া নদীর কেশবপুর পয়েন্টে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন থেকে চুরি করা আনা ১৪টি মহিষসহ ওই কার্গোটি আটক করেন কেশবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু। আটকের সময় চোরের দল মহিষসহ কার্গোটি ফেলে পালিয়ে যায়।

এরপর স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে অবহিত করলে তারা মহিষ মালিকদের ডেকে এনে মহিষ গুলো মালিক পক্ষের নিকট হস্তান্তর করেন এবং কার্গোটি কেশবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর শাহজাহান গাজী ও স্থানীয় চৌকিদার রিপনের জিম্মায় রাখেন।

এদিকে প্রশাসন ও পুলিশকে কিছু না জানিয়ে গত ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি ইউপি মেম্বার শাহজাহান গাজীর নেতৃত্বে একটি রাঘব-বোয়ালের দল ৪টি গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগে কার্টার মেশিন দিয়ে কার্গোটির সকল লোহার প্লেটগুলো কেঁটে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাউফল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সামান্য কিছু প্লেট রেখে ঘটনার সাথে জড়িতরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, কার্গোটিতে নূন্যতম ৫ থেকে ৬ টন লোহার প্লেট ছিল। যার বর্তমান আনুমানিক মূল্য ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। মেম্বর শাহজাহান গাজী একাধারে ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি এবং শ্রমিক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। স্থানীয়দের কাছে এই মেম্বার সুযোগবাদী মেম্বর নামে পরিচিত।

ওই মেম্বারের বিরুদ্ধে ইলিশ শিকার নিষেধাজ্ঞার সময় বিভিন্ন জেলেদের দাদন দিয়ে অবৈধভাবে ইলিশ শিকার করানোর অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া তার অনুসারীদের নিয়ে অবৈধভাবে তেঁতুলিয়া নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু উত্তোলণ করে বিক্রি করে যাচ্ছেন তিনি। যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে তার বাহিনীর ভয়ে স্থানীয়রা সম্মুখে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।

এ ব্যপারে মেম্বর শাহজাহান গাজী বলেন, কে বা কারা কার্গোটির লোহার প্লেটগুলো কার্টার দিয়ে কেটে নিয়েছে এই বিষয় আমি জানিনা।

বাউফল থানার ওসি মো. আল মামুন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে কিছু মালামাল জব্দ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নিতে ঘটনার তদন্ত চলছে।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১