রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
পাইকগাছায় মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সভায় সুপারের গলাধাক্কা ও মারপিট সহ সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ৪ অক্টোবর-২২ উপজেলার লস্কর ইউপি’র খড়িয়া দাখিল মাদরাসার সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি প্রথমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোন প্রতিকার না মেলায় শেষ পর্যন্ত মাদরাসা সুপার জি,এম মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক মেম্বর সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
সুপার মনিরুজ্জামান জানান, ৪ অক্টোবর মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটির সভায় গত ১৮-৬-২২ তারিখে নিয়োগ পাওয়া ১জন আয়া ও ১জন নিরাপত্তা কর্মীর সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বিলের প্রসঙ্গ উঠে। এ দু’জন কর্মচারীর নিয়োগকে কেন্দ্র করে কমিটি সভাপতি ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন ৩ লক্ষ টাকার দাবি করেন। এ সময় আমি মিটিং এ জানাই সরকারি বিধিমতে এ দুজন নিয়োগ পেয়েছেন আমি টাকা দেব কি ভাবে? এ সময় সভাপতি উত্তেজিত হয়ে উঠলে অপর পাশ থেকে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ গাউস সানা আমার গলাধাক্কা দিয়ে থাপ্পড় মারেন। এ সময় বাকিবিল্লাহ ও সোহাগ সরদার, রুহুল আমিন সহ অনেকে আমাকে মারপিট করে অন্যান্য কমিটি সদস্যদের মিটিং থেকে বের করে দেন।
তিনি আরোও অভিযোগ করেন আমাকে দিনব্যাপী আটকে রেখে নন জুডিসিয়াল একটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়।
একধিক সুত্র জানায়, সুপারের বাড়ী কয়রায় হওয়ায় তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত ৬ আক্টোবর সুপার জি,এম মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন,গাউস সানা, বাকি বিল্লাহ, সোহাগ সরদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
এ অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি মিটিং এ সভাপতিত্ব করেছিলাম। কিন্তু সুপারের অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানিনা বলে মন্তব্য করেন।
সুপারের অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক ইউপি সদস্য গাউস সানা কোন মন্তব্য করতে চাননি।
ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, টাকা দাবী ও মারপিটের অভিযোগে মাদরাসা সুপার বাদী হয়ে কমিটি সভাপতি সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেছেন। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তিনি যথাযত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন।