শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দক্ষিণ খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের কপোতাক্ষ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারে প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধটি শেষ পর্যন্ত জনতার ঐক্যবদ্ধ ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রাথমিকভাবে রিং বাঁধ দিয়ে আটকানো সম্ভব হয়েছে।
উল্লেখ্য গত রবিবার ভোর রাতে কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের কপোতাক্ষ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জোয়ারে প্রবল স্রোতে ভেসে যায় শত শত ঘর বাড়ি। হাজার হাজার বিঘা জমির মৎস্য ঘের ডুবে যায়। বিনষ্ট হয়ে যায় গাছ গাছালি। অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
আজ সকাল থেকে পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের হাজার হাজার জনতার ঐক্যবদ্ধ ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রাথমিকভাবে রিং বাঁধ দিয়ে বেড়িবাঁধটি আটকাতে পেরেছে সেচ্ছা শ্রমের ইউনিয়নবাসী। মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবুর নির্দেশনায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মশিউল আলম ও দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আছের আলীর নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় নিজ প্রচেষ্টায় অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ভাবে বেড়িবাঁধটি আটকাতে পেরেছে।
সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, আমি বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে নিজ উদ্যোগে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ও কয়রা অঞ্চলের সকল স্তরের জনতার উপস্থিতিতে, সেচ্ছা শ্রমের ইউনিয়নবাসী নিজ নিজ প্রচেষ্টায় অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ভাবে বেড়িবাঁধ আটকাতে পেরেছে। তিনি আরো বলেন, আমি আমার সর্বস্ব চেষ্টা করে কয়রা অঞ্চলের জন্য কাজ করে যাব। ইতোমধ্যে আমি এই পয়েন্টের জন্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি। বাঁধটি আটকাতে পেরেছি। পানি কমলে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মশিউল আলম বলেন, এহেন পরিস্থিতিতে আমরা পানি আটকাতে পেরেছি। এলাকাবাসীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ভাবে বেড়িবাঁধ আটকাতে পেরেছে। জাইকার অর্থায়নে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।