বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতি হামলা মামলা সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ - Pallibarta.com

মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতি হামলা মামলা সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ

রাজশাহী থেকে হুমায়ুন কবীরঃ
রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিদ্রোহী পদপ্রার্থী আখতারুজ্জামান আখতার তার নির্বাচনে হুমকি হামলা মামলা সহ বিভিন্ন দূর্ভোগ নিয়ে গতকাল শুক্রবার কোর্ট ঢালুর মোড়ে লোটাস কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমি আক্তারুজ্জামান আক্তার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমার প্রতীক মোটরসাইকেল।

স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতি বিশ্বাস রেখে আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি আজ আমি আপনাদের সামনে অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়ন শুরু থেকেই নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার অভিযানে অংশগ্রহণ করছি। প্রতীক বরাদ্দের পর তা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে নির্বাচনের প্রচার প্রচারণায় আমি সহ আমার পক্ষের নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত হুমকি মামলা হামলার শিকার হচ্ছে। অপরদিকে ভোটারদের ওপর আমার প্রতিপক্ষের প্রার্থী ও তার নির্বাচনী সহযোগীরা কালো টাকার প্রভাব খাটিয়ে ভোটারদের উপর অবৈধ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। প্রতিপক্ষের হামলায় গত ৫ তারিখ রাত আনুমানিক সাড়ে দশটায় রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা ধুরইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় এমপি আয়েন উদ্দীন এর উপস্থিতিতে আমাদের প্রচারণার কাজে বাধা সৃষ্টি, নেতা – কর্মীদেরকে মারধোর করে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে এমপিও চেয়ারম্যান উভয়ই তাদের প্রতি নির্যাতন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

এসময় মোহনপুর থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত হয়ে সেখানে আটক থাকা আমার নির্বাচনের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আবু রায়হান মাসুদ সহ অন্যদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় আমার কর্মীদের ব্যবহৃত দুটি মাইক্রোবাস এমপি ও ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ভাঙচুর করা হয়। যা নির্বাচনী আইনের সরাসরি বরখেলাপ। পরবর্তীতে থানা থেকে আমরা আমার নির্বাচন সমন্বয়কারী সহ উদ্ধারকৃতদের আমাদের জিম্মায় নিয়ে আসি। ইউনিয়ন পরিষদে আটক অবস্থায় তাদের কাছে রক্ষিত মোবাইল ফোন, টাকা সহ অন্যান্য জিনিস পত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। জেলা পরিষদ নির্বাচন অন্য নির্বাচনের মত নয়। এই নির্বাচনটি স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি দ্বারায় নির্বাচিত হয়। এই নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ ও উৎসব মুখর করার ক্ষেত্রে আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও তাদের সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী অন্তরায়। রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার পর থেকেই প্রচার প্রচারণাকালে বেশ কয়েকবার আমার এবং আমার কর্মীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য আমাকে নানা ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়। এর পর গত ২৯/০৯/২০২২ তারিখে দূর্গাপুর পৌরসভায় মেয়র দপ্তরে সম্মানিত ভোটারদের সাথে মতবিনিময় কালে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা আমার উপর হামলা চালায়। এবং দূর্গাপুর থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এ সময় উপস্থিত ভোটারদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ছাড়াও বাঘা পৌরসভায় প্রচার কালে ০২/১০/২০২২ তারিখে প্রতিপক্ষরা দোহায় দিয়ে আমাদের স্থান ত্যাগোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়।

তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, আমি ইতিমধ্যে অবগত হয়েছি মোহনপুর থানায় এ্যাডঃ আবু রায়হান মাসুদকে প্রধান আসামী করে প্রায় ১৯ জন নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।আমি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ যে,এসব ঘটনার বিষয়ে যথাযথ ব্যাবস্থা নিতে রিঁটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে আমি তিনটি অভিযোগ দাখিল করি।এর প্রেক্ষিতে রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২২ এর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় হতে পুঠিয়া দূর্গাপুরের এমপি ডাঃ মুনসুর রহমান, পবা- মোহনপুরের এমপি আয়েন উদ্দিন এবং রাসিক মেয়র লিটন কে নির্বাচনী প্রচারনা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। তারা সকলেই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আ,লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশ গ্রহণ করছিলো। রিটার্নিং কর্মকর্তার চিঠি দেওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারনা থেকে অন্যরা বিরত থাকলেও সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন নির্বাচনী আইনকে তোয়াক্কা না করে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোটারদেরকে হুমকি, প্রভাব বিস্তারর অন্যায় চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। চিঠি পাওয়ার পরও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। যা নির্বাচনি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সামিল বলে গণ্য। এদিকে নিদিষ্ট সংখ্যার চেয়ে কয়েক গুন পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে, যা আইন লঙ্ঘন। এছাড়াও আমার প্রতিক সম্বলিত পোষ্টার ব্যানার প্রতিনিয়ত ছিঁড়ে ফেলছে।

এসব ঘটনার পরে আমি প্রার্থী হিসাবে নিজেকে নিরাপদ মনে করছি না। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি অবাধ,সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষে ভোটারদের নিরাপত্তা প্রদান করবেন। এছাড়া ও বিভিন্ন সাংবাদিকবৃন্দের প্রশ্নের জবাব দেন। পল্লীবার্তার পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে জবাবে প্রার্থী বলেন ইসি স্মার্ট ফোন নিয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের যেতে নিষেধ করেছেন।”

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০