রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। বাংলাদেশের আমন্ত্রনে প্রথমে ব্যাট করে মোহাম্মদ রিজওয়ানের অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ২০ ওভারে ১৬৭ রানের পুঁজি পেয়েছে পাকিস্তান।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুর ওভারে তাসকিন আহমেদকে দেখে শুনে খেললেও দ্বিতীয় ওভার থেকে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ান। লম্বা ভ্রমণের ক্লান্তির কারণে এই ম্যাচ না খেলা নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব হাসানের জায়গায় সুযোগ পাওয়া নাসুম আহমেদও নিজের প্রথম ওভারে ব্যাটারদের বিপদে ফেলতে পারেননি।
প্রথম ৪ ওভারে রোটেশন পলিসিতে ৪ বোলার দিয়ে বল করিয়েও লাভবান হননি নুরুল। পাওয়ার প্লে’তে কোন উইকেট না হারানো পাকিস্তান ৬.৩ ওভারে পায় ৫০ রানের পুঁজি। কিন্তু এরপরই অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে উইকেট তুলে নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তাকে সুইপ করতে গিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের তালুবন্দি হন বাবর। ২৫ বলে ২২ রান করেন পাকিস্তানি অধিনায়ক।
এরপর ক্রিজে নামা শান মাসুদকে শুরুতে চেপে ধরলেও পরবর্তীতে তা বজায় রাখতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি বেধে দেখে শুনে রান যোগ করতে থাকেন শানও। তবে দলীয় ১০০’র আগে ১৩তম ওভারে হাসান মাহমুদের তালুবন্দি হন শান।
২২ বলে ৩১ রান করে নাসুমের শিকার হয়ে ফেরেন শান। তিনি ফিরলেও হায়দার আলিকে নিয়ে ১৪তম ওভারে দলীয় ১০০ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। এর খানিক পর ক্রিজে নেমে ১৫তম ওভারের শেষ বলে তাসকিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ইয়াসিরের তালুবন্দি হন হায়দার। ৬ বলে ৬ রান করেন তিনি।
হায়দারের বিদায়ে ক্রিজে আসা ইফতেখার শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন। তবে ৮ বলে ১৩ রান করে হাসানের প্রথম শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর আসিফ আলি এসে বড় রান করতে পারেননি। ৪ বলে ৪ রান করে তাসকিনকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটারও।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝেও রানের চাকা সচল রাখেন রিজওয়ান। শেষের দিকে মোহাম্মদ নাওয়াজের ৫ বলে ৮ রানের ইনিংসের সুবাদে ১৬৭ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৫০ বলে ৭৮ রানে। ২৫ রানে ২ উইকেট নেন তাসকিন।