বরাবরের মতোই বর্ষবরণ উপলক্ষে নতুন পোশাকের সাজে বাঙালি মন মেতে ওঠে উৎসবের আমেজে। নতুন পোশাকে বৈশাখকে বরণ করে নিতে বিভিন্ন সাজে সেজে ওঠে সব বয়সী মানুষ। আর এ প্রস্তুতিকে আরও রঙিন করে তুলতে ‘সারা’ লাইফস্টাইল নিয়ে এসেছে বৈশাখী পোশাকের সমারোহ।
শনিবার (২ এপ্রিল) প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যাবস্থাপক (মিডিয়া এবং জনসংযোগ) শেখ রাহাত অয়নের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈশাখের এ আয়োজনে সারা’র প্রাধান্য থাকছে বিভিন্ন রঙের সমন্বয়ে পোশাকের উজ্জ্বলতার ওপর। তাই সব পোশাকেই থাকছে উজ্বল রঙের প্রাধান্য। এরইমধ্যে গরমের তীব্রতা শুরু হয়েছে। তাই আবওহাওয়াকে প্রাধাণ্য দিয়ে সুতি কাপড়ের ব্যবহার হয়েছে অধিকাংশ পোশাকেই।
বৈশাখ উপলক্ষে পাঞ্জাবিতে ব্যবহার করা হয়েছে উজ্বল রঙ ও বিভিন্ন ধরণের আধুনিক প্রিন্ট, এমব্রয়ডারি ও এক্সক্লুসিভ হাতের কাজ। আর থাকছে বাবা-ছেলের জন্য একই ডিজাইনের পাঞ্জাবি, যা মিনিমি নামেই এখন জনপ্রিয়।
মেয়েদের বৈশাখের আয়োজনে থাকছে বাহারি ডিজাইনের পোশাকের সমাহার। পোশাকের দৈর্ঘ্য ও কাটিংয়ে থাকছে নতুনত্ব। আর শিশুদের জন্য বৈশাখী সমারোহে থাকছে পাঞ্জাবি, ফ্রক, স্কার্টসহ বিভিন্ন পোশাকের এক অভিন্ন আয়োজন।
বরাবরের মতোই সারা’র বৈশাখী আয়োজনে সব ধরনের ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতা ও পোশাকের মানের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। সব ধরনের পাঞ্জাবি ৯০০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাবে। এছাড়া থ্রী পিচ, কুর্ত্তি পাওয়া যাবে এক হাজার থেকে তিন হাজারের মধ্যে।
স্নোটেক্স গ্রুপের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ কাজ শুরু করেছে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে। ঢাকার মিরপুর-৬ এ অবস্থিত ‘সারা’র প্রথম আউটলেট নিয়ে কাজ শুরুর পর বসুন্ধরা সিটির লেভেল ১, ব্লক এ এর ৪০ ও ৫৪ নম্বর শপটি ছিল সারা’র দ্বিতীয় আউটলেট। তৃতীয় আউটলেটটি হলো বাড়ি- ১৯ বি/৪সি ও বি/৪ ডি, ব্লক-এফ, রিং রোড, মোহাম্মদপুর এ ঠিকানায়। উত্তরায় সারার পোশাক পাওয়া যাবে হাউজ নম্বর-২২, সোনারগাঁ জনপদ, সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা এ ঠিকানায়।
বারিধারা জে ব্লকে আছে সারার আরেকটি আউটলেট। সম্প্রতি বনশ্রী ই ব্লকের ১ নম্বর রোডের ৪৮ নম্বর বাড়িতে চালু হয়েছে সারা’র ৬ষ্ঠ আউটলেট। ঢাকার বাইরে সারা’র প্রথম আউটলেটের কার্যক্রম শুরু হয়েছে রংপুরে জাহাজ কোম্পানির মোড়েই। এছাড়া রাজধানী ঢাকার ওয়ারীতে (বাড়ি ৩৬/১ নম্বর, র্যাংকিন স্ট্রিট, ওয়ারী, ঢাকা-১২০৩) সারা’র নতুন আউটলেটের কার্যক্রম শুরু হবে শিগগির।
‘সারা’র নিজস্ব ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ ও ইনস্টাগ্রাম থেকে ক্রেতারা ঢাকার ভেতরে অর্ডার করে বিনামূল্যে হোম ডেলিভারি পেতে পারেন। এছাড়াও ঢাকার বাইরে সারাদেশে কুরিয়ারের মাধ্যমেও আপনার অর্ডারের পণ্য ডেলিভারি পাবেন।