সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
রাজধানীর ফার্মগেট মোড় শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে একেবারে বাসশূন্য দেখা যায়। ছবি: সমকাল
রাজধানীর ফার্মগেট মোড় শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে একেবারে বাসশূন্য দেখা যায়। ছবি: সমকাল
রাজধানীতে বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বেশিরভাগ রুটের বাস বন্ধ রয়েছে। পথচারীরা বলছেন, ঢাকায় অঘোষিত বাস ধর্মঘট চলছে। শনিবার সকালে ঢাকার গুলিস্তান, শাহবাগ, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, মহাখালী, নিকুঞ্জ, শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে কারওয়ান বাজারে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শাহবাগ থেকে বাস না পেয়ে মোটরসাইকেলে আসতে হলো। খরচটা অনেক বেশি গেল, কিছু করার নেই।’
রাজধানীর উত্তরা থেকে পল্টনগামী প্রেস দোকানের কর্মী মো. সোহেল বলেন, বাস আসছে না, অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করছি। যেতেও হবে, কী করব ভেবে পাচ্ছি না।’
মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেটের অফিসগামী বাদল সরকার বলেন, ‘বাসের জন্য প্রায় আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি। সরকার উদ্যোগের ঢাকা নগর পরিবহনও চলছে না। বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেলেই ভরসা রাখতে হবে।’
মোহাম্মদপুর টু স্টাফ কোয়ার্টারগামী স্বাধীন পরিবহনের একজন গাড়িচালককে কেন বাস বন্ধ রেখেছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে রাজধানী ঢাকার আগে দেশের সবগুলো বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। সব সমাবেশের আগেই একদিন দুদিন বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। শুধু কুমিল্লার সমাবেশে বাস বন্ধের ঘটনা পাওয়া যায়নি।
বাস না থাকায় অনেকে বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেল বা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। নিকুঞ্জের বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও বাস পাননি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী মাহমুদ রহমান। পরে বাধ্য হয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘তুলনামূলক বেশি ভাড়ায় সিএনজি নিতে হচ্ছে। অফিসে তো যেতেই হবে।’
মো. মাহাবুব শনিবার সকালে সমকালকে বলেন, ভোর ৬টায় বের হয়ে পৌনে ৮টা নাগাদ ১৪৫০ টাকার ভাড়া মেরেছি। অন্যদিনে এই ভাড়া পেতে বিকেল হয়ে যেত।’ রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরের বাসিন্দা এই মোটরসাইকেল চালক বলছিলেন, ‘গাড়িঘোড়া তেমন নেই, একারণে ১০ থেকে ১৫ মিনিটে বেশ দূরত্বের জায়গাগুলোতে ভাড়া মারতে পারছি।’