রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
মোস্তাফিজুর রহমান সুজন,পটুয়াখালীঃ
পটুয়াখালীতে জমিজমা বিরোধের জেরে মা মেয়ে ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা
১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কুড়িপাইকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ফরিদা বেগম (৩৫) তার মেয়ে বৃষ্টি আক্তার (১৮) এবং ছেলে রবিউল হাওলাদার (১৩) আহত হন বর্তমানে আহতরা পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়ছে।
এঘটনায় গতকাল রাতেই জসিম ও তবারক হাং নামে দুজনকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য পটুয়াখালী সদর থানায় আনা হয়।
হাসপাতালে আহত ফরিদা বেগমের স্বামী মোঃ মনিরুল হাওলাদার বলেন, আমার বাড়ির পাশের রাস্তা ও বাড়ির জমি নিয়ে জসিম ও তবারকের সাথে বিরোধ ছিলো।
গতকাল এ নিয়ে সালিস হয় যেখানে স্থানীয় চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মামুন খান উপস্থিত ছিলেন।
সালিসি শেষ করে তারা পরবর্তী যেকোন একদিন জমির সমাধান হবে বলে চলে যান।
কিন্তুুু সন্ধ্যার পর শুনি জসিম ও তবারক তাদের ৮/১০ জন লোক নিয়ে আমার বউ, ছেলে ও মেয়ের উপর হামলা চালায়।
পরে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে আমার বউ, ছেলে এবং মেয়েকে উদ্ধার করে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় জসিম খা, কালাম খা, সেকান্দার তাং, তবারক হাং, মতি হাং, আনোয়ার হাং, মামুন হাং, অযুফা বেগম সহ ১০/১২ জনের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত ফরিদা বেগম জানান, সালিশির শেষে সন্ধ্যার পর জসিমদের সাথে জমিজমা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় একপর্যায়ে জসিম রান্দা দিয়ে আমার মাথার উপর কোপ দেয়।
এবং লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটাতে থাকে এবং আমার বাসার দরজা ভেঙ্গে আলমারিতে থাকা ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত বৃষ্টি আক্তার জানান, জসিম, তবারকসহ ১০/১২ জন লোক আমাদের রান্দা ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে।
আমার পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে এখনো লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
পটুয়াখালী সদর থানার এসআই বিপুল হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় গতকাল রাতেই জসিম ও তবারক হাওলাদার নামে দু জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয় মামলা হলে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।