মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
মোস্তাফিজুর রহমান সুজনঃ
পটুয়াখালীতে আদালতের মাধ্যমে জমির মালিকানা ফিরে পেলেন একজন ফরিয়াদি, সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায় ডিক্রিজারী কেস নং ১৪/২০২২ইং যার সুত্র মূল দেওয়ানীমামলা নং ৬২০/ ২০২১ইং। গত ২৬শে জানুয়ারী এক জনাকীর্ণ জন সমাগমে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ এর সহায়তায় আদালত কতৃক প্রেরিত নাজির মোঃ রুহুল আমীন জজ কোর্ট, এ্যাড.আখতারুজ্জামান উকিল কমিশন, আব্দুল হালিম প্রসেস সার্ভেয়ার জজ কোর্ট, এস আই মোঃ হারুন অর রশিদ সহ সঙ্গীয় ফোর্স, মতিন মাহমুদ জাহিদ সিকদার কাউন্সিলর ৯ নং ওয়ার্ড পটুয়াখালী পৌরসভা এবং এ্যাড. মোঃ শামীম সহ এলাকার শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী ও বিরোধীয় জমির পূর্বের ভোগদখলকারীগণরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২৬শে জানুয়ারী ২০২৩ইং সকাল সারে ৯ টার সময় উপরোল্লিখিত ব্যাক্তিদ্বয় সরেজমিনে আসেন এবং পূর্ব হেতালীয়া মৌজার জে এল নং ৮২,খতিয়ান নং ২০৪, দাগ নং ৮৮,৮৯,৯০ থেকে ফরিয়াদি মোঃ জাহাঙ্গীর চৌকিদার গংদের জনাকীর্ণ লোকজনের উপস্থিতিতে এবং ড্যান্ডারা ( ঢোল পিটিয়ে) তার প্রাপ্য মোট ০.৬৩০০ শতাংশ জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়। সকাল সারে ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে মাপজোপ এর কাজ। এ রায় বাস্তবায়নের জন্য গত ১২ জানুয়ারী ২০২৩ইং তারিখ জনাকীর্ণ আদালতে সিনিয়র সহকারী জজ আসিফ এলাহীর স্বাক্ষরিত আদেশ বলে এ রায় কার্যকর করা হয়।
নিজের পৈতৃক সম্পত্তি বুঝে পেয়ে সন্তস্টি প্রকাশ করেন মোঃ জাহাঙ্গীর চৌকিদার, এদিকে এ রায় কার্যকর করার কারণে বিপাকে পরেছেন অনেকেই। সরেজমিনে দেখা যায় উক্ত জমি ইতিমধ্যে একাধিকবার বিক্রিও করেছেন জমির পূর্বের দখলকৃতরা। এ বিষয় আদালতের নাজির মোঃ রুহুল আমীন এবং উকিল কমিশন এ্যাড. আখতারুজ্জামান বলেন, আজ ২৬শে জানুয়ারী জজকোর্ট এর আদেশ অনুযায়ী ফরিয়াদিকে তার পৈতৃক প্রাপ্ত ০.৬৩০০একর জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, অবশ্যই বিবাদীগণ চাইলে আদালতে আপিলের সুযোগ রয়েছে এবং এ বিষয় তাদের কিছু বলার থাকলে অবশ্যই আদালতে বলতে পারবেন সে সুযোগ তাদের রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে কারণ আগত অনেকেই ইতিপূর্বে এমন ভাবে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হতে দেখেন নি।