সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে বাংলাদেশের ওপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ৯টি দেশের ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর গত শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র, তাতে বাংলাদেশি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নেই। যদিও এর আগে এলিট ফোর্স র্যাব ও সাবেক-বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার এক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন তালিকা দেখে বিএনপি হয়তো হতাশ হয়েছে। এবারও বাংলাদেশের আরও কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসবে এবং ১০ ডিসেম্বর সেটা উদযাপন করবে বলে বিএনপিকে তাদের লবিস্টরা আশ্বস্ত করেছিল। এ কারণেই তারা ১০ তারিখে ঢাকায় গণসমাবেশ ডেকেছিল। কিন্তু নতুন তালিকা দেখে তারা আশাহত হয়েছে। তাদের অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আসলে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা তেমন কোনো ফল আনে না। যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের যে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাদের আসলে কখনো যুক্তরাষ্ট্রে যেতে হয় না।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বিএনপি আজকের (গতকালের) সমাবেশে যে ১০ দফা দাবি তুলেছে তাতে বাংলাদেশের চিরাচরিত রাজনৈতিক ভাষার প্রতিফলন নেই। দফাগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিদেশিদের যে উদ্বেগ বা পরামর্শ থাকে তার সঙ্গে অনেকটা মিল পাওয়া যায়। তারা আসলে লবিস্টদের পরামর্শে এসব ইস্যু যোগ করে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চাচ্ছে। কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চাপ প্রয়োগ করে কোনো লাভ নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান সম্পর্কের কথা স্মরণ করিয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, আসলে দুদেশের মধ্যে ‘এনগেজমেন্ট’ একটি বড় বিষয়। ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এনগেজমেন্ট বেড়েছে। ফলে বাংলাদেশ এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আর আশঙ্কা করে না।
জাতিসংঘের মানিবাধিকার কাউন্সিলে সর্বোচ্চ ভোটে বাংলাদেশ জয়ী হয়েছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবদানের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থার কারণেই এ অর্জন এসেছে।
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে শাহরিয়ার আলম বলেন, র্যাব ও এই বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে রাজনৈতিক ও আইনি প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তবে এটা খুব লম্বা প্রক্রিয়া।