বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
দেড় হাজার কোটি টাকায় নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স, প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন ।
স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে সিলেটে গড়ে তোলা হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কমপ্লেক্স’। দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই কমপ্লেক্স নির্মাণে ব্যয় হবে দেড় হাজার কোটি টাকা।
এ সংক্রান্ত প্রকল্পে প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাজেট অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে প্রকল্পটি।
সিলেটে ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স’ নির্মাণের তথ্য প্রথমবারের মতো উপস্থাপন করা হয় চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি। ওইদিন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) উদ্যোগে ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সদ্য ঘোষিত সিসিকের ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটেও বিষয়টি উল্লেখ করেছেন মেয়র আরিফ। ২৫ তলা বিশিষ্ট এই কমপ্লেক্সের নকশাও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ট্রায়াঙ্গল কনসালট্যান্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান নকশা করেছে। এর সঙ্গে স্থপতি শাকুর মজিদ জড়িত।
সিসিকের পরিকল্পনা থেকে জানা গেছে, সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকার হাসান মার্কেট ও লালদিঘী সিটি সুপার মার্কেটের জায়গায় গড়ে তোলা হবে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কমপ্লেক্স’। প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে হবে এই আধুনিক স্থাপনা। যেখানে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বরে’ তার স্মৃতি ছাড়াও ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতীকী উপস্থাপনা থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তর্জনী উঁচিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, তার সেই তর্জনীর আদলে ‘বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সে’ একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। এখানে ‘বঙ্গবন্ধু প্লাজা’য় থাকবে মুক্তিযুদ্ধের দালিলিক স্মারক সংগ্রহশালা, সিনেপ্লেক্স, অডিটোরিয়াম, এক হাজার আসনের কনভেনশন হল। থাকবে শেখ রাসেলের নামে পার্কও।
নির্মিতব্য এই কমপ্লেক্সে মানুষের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থার দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখছেন সংশ্লিষ্টরা। এ জন্য কমপ্লেক্সে থাকবে নাগরিক চত্বর। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য রাখা হবে উন্মুক্ত মঞ্চ। কমপ্লেক্সে থাকবে খোলা পার্ক, বইমেলা বা কুটিরশিল্প মেলা করার জন্য ৩৪২টি স্টল বসানোর সুবিধা। সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা সহযোগে কমপ্লেক্সটি হয়ে উঠবে দৃষ্টিনন্দন। এই কমপ্লেক্সের ল্যাম্পপোস্টগুলো হবে সিলেটের ঐতিহ্য দুটি পাতা-একটি কুঁড়ির আদলে।