তজুমদ্দিনে পতিত জমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন, খবর নেই উপজেলা কৃষি অফিসের। - Pallibarta.com

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তজুমদ্দিনে পতিত জমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন, খবর নেই উপজেলা কৃষি অফিসের।

তজুমদ্দিনে পতিত জমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন, খবর নেই উপজেলা কৃষি অফিসের।

রুবেল চক্রবর্তী, ভোলা প্রতিনিধিঃ

ভোলার তজুমদ্দিনের চরাঞ্চলে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। তরমুজ আবাদে উপজেলায় বিগত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হওয়ায় খুশি কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায়, রোগ বালাই কম ও পোকা মাকড়ের আক্রমন না থাকায় আগে ভাগে তরমুজ কাটতে পেরে ভালো দাম পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে কৃষকরা। ক্ষেত থেকে সংগ্রহ করা তরমুজ কৃষকরা ট্রলার যোগে সরাসরি চট্টগ্রামসহ দেশের বড় বড় শহরে ফলের আড়ৎতে নিয়ে ভালো দামে বিক্রি করছেন। এতে কৃষকরা উৎপাদন খরচ পুষিয়ে ভালো লাভবান হচ্ছেন। যার ফলে তরমুজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।

উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরমোজাম্মেলে বিগত বছরগুলিতে আমন ধান কাটার পর জমিগুলি অনাবাদি পতিত জমি হিসেবে পরে থাকতো। কিন্তু এ বছর পাশ্ববর্তী জেলা নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষাবাদ শুরু করেন। তবে চর মোজাম্মেলে বাণিজ্যিক তরমুজ চাষের খবরই নেই তজুমদ্দিন কৃষি অফিসে! কৃষকরা জানান তাদের সাথে সুবর্ণ চরের কৃষি অফিসের যোগাযোগ থাকলেও যোগাযোগ নেই তজুমদ্দিনের কৃষি অফিসের সাথে। আর অফিসও তাদের খোজ-খবর নেয়নি। এ বছর রোগ ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ না থাকায় বিগত সময়ের তুলনায় তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদিত তরমুজ নদী পথে মোকামে নেয়ার ফলে খরচ কম হচ্ছে বলেও জানান কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবছর উপজেলায় তরমুজ চাষের লক্ষমাত্রায় নির্ধারণ করা হয় ৫ হেক্টর। কিন্তু চাষাবাদ হয়েছে প্রায় ৪০হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছিলো ১শত ২৫ মেট্টিক টন কিন্তু উৎপাদন হয়েছে প্রায় ১হাজার মেট্টিক টন। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। তবে সরকারী বরাদ্দ না থাকায় তরমুজ চাষিদের জন্য পরামর্শ দেয়া ছাড়া আর কোন কিছুই করার নেই বলে জানান কৃষি অফিস।
জানতে চাইলে সুবর্ণচর থকে আসা কৃষক তাজুল ইসলাম, মোঃ আহসান উল্যাহসহ কয়েকজন বলেন, আমরা নোয়াখালী থেকে এখানে এসে ২৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করছি। এ বছর পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তরমুজের ফলন ভালো হওয়ায় আশা করি লাভবান হবো। তবে সরকারী সহযোগীতা পেলে আমরাসহ অন্য কৃষকরাও তরমুজ চাষে আরো চাষীরা আগ্রহী হবে। তবে তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোন ধরনের সহযোগীতা করা হয়নি বলেও জানান কৃষকরা।

উপরোল্লিখিত বিষয় জানতে ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অ.দা) মো. হাসান ওয়াসিরুল কবীরকে তার বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করে সাংবাদিক পরিচয় দিলেই তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। যে কারণে তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০