বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও ঝোড়ো বাতাসে পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। এতে পটুয়াখালীর অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। গতকাল রোববার মধ্যরাত থেকে পল্লী বিদ্যুতের অধীনে আটটি উপজেলার মধ্যে ছয়টির বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলার মধ্যে শুধু সদর উপজেলা ও মির্জাগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও অন্য উপজেলার বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক বশির আহমেদ বলেন, ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বর্ষণের কারণে গ্রামাঞ্চলের অনেক গাছপালা উপড়ে গেছে। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলার গলাচিপার সংবাদকর্মী মো. কাওসার বলেন, সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল নেটওয়ার্কও ঠিকমতো কাজ করছে না।
দশমিনার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের শিক্ষক গোলাম মাওলা বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। মুঠোফোনের চার্জ শেষের দিকে। বিদ্যুৎ না থাকায় টিভি দেখা যাচ্ছে না। এতে করে ঝড়ের খবরও জানতে পারছি না।’
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব বাড়তে থাকে। ভারী বর্ষণসহ ঝড়ো বাতাস অব্যাহত আছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, জেলার ৮ উপজেলায় নগদ ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ–পরবর্তী সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।