ঘুমন্ত শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা, পুত্রবধূ আটক
বরিশালের বাকেরগঞ্জে শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিক কলহে ঘুমন্ত শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করে ছেলের বউ। এ ঘটনায় পুত্রবধূ লাবণ্য আক্তারকে (২১) আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১১ মে) রাত ১০টার দিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাজনীন বেগম (৫০) ওই এলাকার মৃত হানিফ হাওলাদারের স্ত্রী।
নিহতের ভাসুর মো. কালাম হাওলাদার সময় সংবাদকে বলেন, বুধবার রাতে নাজনীন বেগমের ছেলে উজ্জ্বল তাকে ফোন দিয়ে জানায় তার মা ফোন রিসিভ করছে না। আমাকে ঘরে গিয়ে তার মায়ের খোঁজ নিতে বলেন। আমি ঘরের সামনের দরজা বন্ধ দেখে পেছনের খোলা দরজা দিয়ে ঢুকেই চৌকির পাশে মশারিতে প্যাঁচানো রক্তাক্ত অবস্থায় নাজনীনের মরদেহ দেখতে পাই। পরে পুলিশকে খবর দেই।
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি আলাউদ্দিন মিলন বলেন, স্থানীয়দের খবর দিলে দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে পুত্রবধূ লাবণ্যকে আটক করা হয়েছে।
ওসি আলাউদ্দিন আরও বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মশারির মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পাই। অভিযুক্ত লাবন্য হত্যাকাণ্ডের পর তার জামা-কাপর রক্তে ভিজে যাওয়ায় সে তা চালের ড্রামের নিচে লুকিয়ে রেখেছিল, সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ সার্কেলের এএসপি সুদীপ্ত সরকার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রান্নার কাজে ব্যবহৃত ছুড়ি দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে ঘুমন্ত ওই নারীকে। পারিবারিক দ্বন্দকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা সেটি তদন্তে উঠে আসবে। আমরা একজন অভিযুক্তকে আটক করেছি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উজ্জ্বল হাওলাদারের স্ত্রী লাবন্য আক্তার শাশুড়ির সাথে এক ঘরেই বসবাস করতো। উজ্জ্বল ও তার ছোট ভাই রাজু হাওলাদার জীবিকার প্রয়োজনে ঢাকায় থাকেন। তারা দুই ভাই ঈদ শেষে গত ১০ মে ঢাকায় ফিরে যান।
