রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর কনভেশন সেন্টারে চলছে চার দিনব্যাপীআন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলন ও পণ্য প্রদর্শনী। রোববার মেলার শেষ দিন। মালয়েশিয়া সেলাঙ্গর রাজ্য সরকারের আয়োজিত সবচেয়ে বড় এই বাণিজ্য সম্মেলন ও পণ্য প্রদর্শনী মেলায় বাংলাদেশ এই প্রথম দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশী পণ্য প্রদর্শন করা হয়। মেলা উদ্ভোধন করেন দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্রাউন প্রিন্স টুংকু আমির শাহ ইবনে সুলতান শরফ উদ্দিন।
২৩টি দেশের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া এই বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশের একটিসহ বিভিন্ন দেশের মোট ৮৪৬টি প্যাভিলিয়ন স্থান পেয়েছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশীদের পদচারণায় দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। মেলায় দেখা গেছে বাংলাদেশী স্টলের সামনে বিদেশীদের উপচে পড়া ভিড়। বাংলাদেশী খাবার ও পণ্য সামগ্রীর প্রতি তাদের আগ্রহ
বেশি ছিল।
পণ্য প্রদর্শনীর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: গোলাম সরোয়ার বলেন, প্রথমবারের মতো মেলাতে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশী পণ্য বিদেশের মাটি তে প্রদর্শন করে আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি এবং সফলও হয়েছি।
এ সময় তিনি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন এবং সেখানে দায়িত্বরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত মো: গোলাম সরোয়ার বলেন, বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তারা সহ সংশ্লিষ্ট সবাই কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রদর্শিত দেশীয় পণ্য ও খাদ্য সামগ্রী দেখে মানুষের মাঝে যে আগ্রহ দেখছি, এতে করে আগামীতে মালয়েশিয়ার যেকোনো মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণে আমাদের আগ্রহ আরো বেড়ে গেছে। আগামী তে আরো বড় পরিসরে মেলায় অংশগ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশি পণ্যের আরো ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ হতেও বাংলাদেশী পণ্যের মেলা আয়োজন করা হবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
পরে রাষ্ট্রদূত সেখানে স্থাপিত অন্যান্য দেশের প্যাভিলিয়নগুলোও ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান রুহুল আমিন, কাউন্সিলর (কনস্যুলার) জি এম রাসেল রানা, কাউন্সিলর (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের তত্ত্বাবধায়ন ও সহযোগিতায় মেলায় অংশ নিয়েছে বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী খাদ্য ও পানীয়’র প্রতিষ্ঠান। আজ সন্ধ্যার ৬ টার সমাপনী অধিবেশনের মাধ্যমে চার দিন ব্যাপী এই আন্তজার্তিক বানিজ্য মেলা সমাপ্ত হবে।