শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
মোঃপাভেল মিয়া, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতাঃ
কুড়িগ্রাম জেলার চলতি আমন মৌসুমের ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু উক্ত আমন ধান কাটা মাড়াই শ্রমিক সংকটে পড়েছে কৃষকেরা।জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কারণ হিসেবে জানা গেছে অধিকাংশ দরিদ্র শ্রমিক অধিক আয়েরে জন্য ঢাকায় পাড়ি জমিয়েছে । গ্রামের কৃষকের দৈনিক শ্রমিকের মজুরি দিয়ে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে পারে না । এছাড়াও গ্রামে কাজ সবসময় থাকে না । এই সময় তাদের ঘরে বসে বেকারত্ব জীবন যাপন করতে হয়। কাজ কর্ম না থাকায় আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যায় । ফলে অতি কষ্টে জীবন যাপন করতে হয় । গ্রামে কৃষকের ফসলের উৎপাদনের সময় এবং ফসল মাড়াই এর জন্য শ্রমিকের দরকার হয় । তাও আবার কম দামে শ্রম বিক্রি করতে হয় । তাই জীবন জীবিকার তাগিদে দরিদ্র শ্রমিকেরা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কাজের কর্মরত আছেন ।
কিছু শ্রমিক শ্রম বিক্রির পরিবর্তে প্রতিদিন আয়ের জন্য ভেন,অটোরিকশা, টলি, রিক্সা সহ বিভিন্ন কাজ করে আয় রোজগার করে দিন চালাচ্ছে। এতে প্রতিদিন দরিদ্র শ্রমিকেরা ৭/৮ শ টাকা রোজগার করে থাকে । অনেকে আবার ছোট ব্যবসা করে আয় রোজগার করছে। বর্তমানে গ্রাম অঞ্চলে চলতি আমন মৌসুমের ধান কাটামারীতে শ্রমিকের ব্যাপক শ্রমিক আছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। একদিকে যেমন আমন ধান কাটা শুরু আর অন্য দিকে শীত মৌসুমে নানান রকমের সবজির চাষ শুরু হয়েছে। এই জন্য শেরপুর জেলার আমন ধান কাটা নিয়ে শ্রমিক সংকটে পড়ছে কৃষকেরা । এবং কি শ্রমিকদের বেতন দিগুন করে দিতে হচ্ছে। তারপরেও শ্রমিক সংকটে পড়েছে কৃষকেরা। প্রতি একর আমন ফসল কাটা ও মাড়াই ৮/৯ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।