মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
আলি হায়দার, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জ কুলিয়ারচর ফরিদপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা কর্তৃক অবৈধ পন্তায় তৈয়ারীকৃত জন্ম নিবন্ধনে স্বাক্ষর না দেওয়ায় মারধোরের অভিযোগ এনে ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম আজিজ উল্ল্যাহ’র বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন নবনিযুক্ত ইউপি সচিব মো. হাবিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লুনা’র নিকট এ অভিযোগ দাখিল করেন তিনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, যোগদানের পূর্বেই ফোনে উদ্যোক্তা কাছে জন্ম নিবন্ধন প্রতি কিছু সুবিধা নেওয়া কথা জানান সচিব এবং যোগদানের দিন থেকেই বিভিন্ন জনের কাছে অতিরিক্ত টাকা চাইতে শুরু করেন। এতে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে একের পর এক ফোন করতে থাকে আমাকে। পরবর্তীতে আমি উপজেলা পরিষদ থেকে এসে বিষয়টি সমাধানের জন্য সচিবকে আমার রুমে ডেকে কথা বলি। সেখানে কোনো মারধরের মত ঘটনা ঘটেনি। বরং সরকারি ফি এর বাহিরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই জানিয়ে, সচিবকে আমি ব্যক্তিগত পকেটে থেকে সুবিধা দেওয়ার কথা বলি।
তারপরও সচিব বার বার আমি এসব বুঝবো না বলতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি থাকে এটা বলি যে, যেহেতু ভোটার তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে, এবং হালনাগাদের সময় মাত্র কয়দিন বাকি আছে। সেহেতু ছোটখাটো এসব বিষয় না আটকিয়ে ছেড়ে দিতে। কিন্তু সচিবের একই কথা আমি এসব বুঝবো না। তখন আমি বলি, এসব ছোটখাটো বিষয় ছাড়তে না পারলে কাল থেকে আসার দরকার নেই। এতটুকুই কথা, এর বাহিরে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এসময় পরিষদে একাধিক ইউপি সদস্য সহ অসংখ্য মানুষ উপস্থিত ছিলো জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, প্রয়োজনের তাদের কাছ থেকে সত্যতা জানতে পারেন।
ইউপি সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি গত ১৪ নভেম্বর নতুন কর্মস্থল ফরিদপুর ইউনিয়ন পরিষদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই চেয়ারম্যানের সাইন করা বিভিন্ন জন্ম নিবন্ধনের ফর্ম আসতে থাকে। এসব জন্ম নিবন্ধনের মধ্যে যেগুলো তথ্য সমস্যা রয়েছে বা উপযুক্ত ডকুমেন্টস নেই, সেগুলোতে আমি সাইন করিনি।
সাইন না করে সেগুলোর বিষয়ে চেয়ারম্যানের সাথে পরামর্শ করে সমাধানের কথা বলি। কিন্তু বিকালে চেয়ারম্যান এসেই আমাকে ডেকে নিয়ে বলেন, আমি যে কাগজ পাঠাবো সেগুলোতে চোখ বন্ধ করে সাইন করতে হবে। নয়তো কাল থেকে আসার দরকার নেই। এর একপর্যায়ে চেয়ারম্যান আমাকে রুমের অসংখ্য মানুষের সামনে চড়থাপ্পড় মারতে থাকেন। শুধু তাই নয়, আমাকে মারার জন্য রড খুঁজতে থাকেন। পরে আমি রুম থেকে বের হয়ে আসি।
এ বিষয়ে ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা একাধিক ইউপি সদস্য ও ব্যক্তিবর্গের সাথে কথা বললে সকলেই এক বাক্যে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।