মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অর্থ সংগ্রহ করার প্রক্রিয়ায় থাকা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের শেয়ার দরের নিলাম (বিডিং) শেষ হয়েছে। নিলাম শেষে শেয়ারটির কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ৫০ টাকায়।
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কাট-অফ প্রাইসের ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে অর্থাৎ ৩৫ টাকায় শেয়ারটি কিনতে পারবেন।
তবে সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ি, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ চাইলে বিনিয়োগকারীদের কাছে সর্বনিম্ন ২০ টাকায়ও শেয়ারটি বিক্রি করতে পারবেন। কোম্পানি ও বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১০ অক্টোবর বিকাল ৩টায় থেকে একটানা ১৩ অক্টোবর বিকাল ৩টা পর্যন্ত কোম্পানিটির বিডিং অনুষ্ঠিত হয়। বিডিংয়ে কোম্পানিটি শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয় ৫০ টাকায়।
এর আগে গত ৩১ আগস্ট শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে বিডিংয়ের অনুমতি প্রদান করে। কোম্পানিটি শেয়ারবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতির নিয়ম অনুসারে, প্রথমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ার বিক্রি করা হবে। যে দামে এসে তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের বিক্রি শেষ হবে, সেই দামের (কাট-অফ প্রাইস) চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা হবে। তবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ চাইলে বিনিয়োগকারীদের কাছে সর্বনিম্ন ২০ টাকায়ও শেয়ারটি বিক্রি করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: রেজাউল করিম জানান, যেহেতু এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের কাট-অফ প্রাইস ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নিয়মানুযায়ী কাট-অফ প্রাইসের ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্টে বা কোম্পানি চাইলে সর্বনিম্ন ২০ টাকা কিংবা ৩৫ টাকা এবং ২০ টাকার মধ্যে যেকোনো দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারটি পাবেন।
কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৩০ জুন ২০২১ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে পুনঃমূল্যায়ন পরবর্তী কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৫৬ টাকা ৬১ পয়সা। আর পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিল ৩৫ টাকা ৪৮ পয়সা। পাঁচ বছরের ভারিত গড় শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা।
আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিএসইসির দেওয়া শর্ত অনুসারে, তালিকাভুক্তির আগে কোম্পানিটি কোনো ধরনের লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন বা বিতরণ করতে পারবে না।
কোম্পানিটির আইপিওর ইস্যু ম্যানেজার হচ্ছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।